ঘুমানোর আগে মেইল চেক, ঘুম থেকে উঠার পরে আবার অনলাইন -এমন ঘটনা আপনার জীবনে কি নিয়মে পরিণত হয়েছে? স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন চেক ইত্যাদি কী বাড়াবাড়ি রকমের হয়ে গেছে? তাহলে নতুন বছরে ঝেড়ে ফেলুন এ ধরনের সব বদঅভ্যাস। এ লেখায় দেয়া ১৪টি পয়েন্ট হোক ২০১৪ সালের টেক প্রতিজ্ঞা।
১. ঘুমানোর আগে ও ঘুম থেকে উঠার পর অনলাইনে যাওয়া বাদ দেব।
এ সমস্যা সমাধানে আপনাকে বেডরুমের বাইরে পাঠাতে হবে সব স্ক্রিনযুক্ত ডিভাইস। আপনি যদি কোনো অ্যালার্ম ঘড়ি হিসেবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা বাদ দিন। এর বদলে আবার ঘরে নিয়ে আসুন একটি সাধারণ অ্যালার্ম ঘড়ি।
২. অফ করব সব ইমেইল নোটিফিকেশন।
ফেসবুক ইমেইল নোটিফিকেশন, মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ ইমেইল অ্রালার্ট, জিমেইল ইনবক্স কাউন্টার ও জি চ্যাট নোটিফিকেশন এগুলো কি আপনাকে সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখে?
এ ঝামেলা এড়াতে এগুলোর সেটিংসে প্রবেশ করুন। সবগুলো বিপ, চাইম ইত্যাদি সাউন্ড বন্ধ করুন। এরপর এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা বা প্রয়োজনমতো নির্দিষ্ট সময় পর পর এগুলো চেক করুন। এতে এগুলোর ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ অনেক বাড়বে।
এ ঝামেলা এড়াতে এগুলোর সেটিংসে প্রবেশ করুন। সবগুলো বিপ, চাইম ইত্যাদি সাউন্ড বন্ধ করুন। এরপর এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা বা প্রয়োজনমতো নির্দিষ্ট সময় পর পর এগুলো চেক করুন। এতে এগুলোর ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ অনেক বাড়বে।
৩. আমার স্মার্টফোনটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত ব্যবহার করব না।
স্মার্টফোনে সারাক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অভ্যাস ত্যাগ করব। প্রয়োজন ছাড়াই নিজের মুখে সেখানে দেখানোর অভ্যাস বাদ দিন। যখন কারো সঙ্গে মুখোমুখি কথাবার্তা বলছেন, তখন স্মার্টফোনটি পকেটে রাখুন। এর স্ক্রিনের দিকে তাকালেও অনেক সময় আপনার সঙ্গী বিরক্ত হতে পারে।
৪. এসএমএস/টেক্সট ব্যবহার কমিয়ে সরাসরি কথা বলব।
বন্ধুর কোনো উপলক্ষে তাকে হ্যাপি বার্থডে, হ্যাপি নিউ ইয়ার, হ্যাপি অমুক দিবস ইত্যাদি কপি-পেস্ট এসএমএস টেক্সট না পাঠিয়ে সরাসরি কথা বলুন। টেক্সট পাঠানো অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও এটি সবক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই। সরাসরি কথা বলাই এখন সবচেয়ে ভালো।
৫. কেউ আমার ফোন রিসিভ না করলে এসএমএস/টেক্সট করব।
প্রয়োজনে কাউকে ফোন করার পর সে কোনো কারণে তা রিসিভ করতে না পারলে তাকে এসএমএস টেক্সট পাঠানো যেতে পারে। ভয়েসমেইল এক্ষেত্রে কোনো সমাধান নয়। এসএমএস এক্ষেত্রে অপর পক্ষের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে ভালো উপায়।
৬. এসব স্থানে আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করব না-
-জিম
-সিঁড়ি
-রাস্তা পারাপারের সময়
-বের হওয়ার লাইনে
-ড্রাইভারের আসনে
-বিশ্রামের সময়।
-জিম
-সিঁড়ি
-রাস্তা পারাপারের সময়
-বের হওয়ার লাইনে
-ড্রাইভারের আসনে
-বিশ্রামের সময়।
৭. টুইটারের বাইরে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করব না। টুইটারেও শুধু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ব্যবহার করব। যখন তখন এসব নয়।
৮. ইন্সটাগ্রামে একবারে একটা করে ছবি পোস্ট করব। একাধিক ছবি পোস্ট করব না।
৯. প্রতিদিন তিনবারের বেশি ফেসবুক চেক করব না।
১০.যখন তখন ইন্টারনেটে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ইন্টারনেটে খোঁজা বন্ধ করব।
১১.অন্যকারো সৃষ্টি সারাক্ষণ অনলাইনে শেয়ার করব না।
অন্যের শেয়ার করা ছবি, ভিডিও, অপ্রয়োজনীয় খবর ইত্যাদি অনলাইনে পুনরায় শেয়ার করা বন্ধুদের বিরক্তি সৃষ্টি করে। এ কাজ সম্পূর্ণ বাদ দিতে না পারলে যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলাই ভালো।
১২.বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার সিংক্রোনাইজেশন বন্ধ করব।
একই পোস্ট বন্ধুদের তিনটি ভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখানোর কোনো দরকার নেই। এটি তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।
১৩.আমার ইনবক্সে জমা অপঠিত ইমেইল যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলব।
১৪. অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সোশাল মিডিয়ায় অপ্রয়োজনীয় গল্প তৈরি বাদ দেব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন