Simple Bangla News

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

ওজন বাড়ানোর উপায়

ওজন বাড়ানোর উপায়

অনেকেই আছেন অনেক খেয়ে এবং ব্যায়াম করেও ওজন বাড়াতে পারেন না। কিভাবে ওজন বাড়াবেন, মো.মনিরুজ্জামানকে জানালেন ফিটনেস প্রশিক্ষক জহুরুল ইসলাম এবং পুষ্টিবিদ তৃপ্তি চৌধুরী 
woman-eatin-cake-1
যাঁরা অনেক খাওয়ার পরও ওজন বাড়াতে পারেন না, তাঁদের হার্ডগেইনার বলে। হজমশক্তি সবার এক না। এটা জন্মগত। যাঁদের হজমশক্তি খুব বেশি, খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের ক্যালরি বার্ন হয়ে যায়, পুষ্টি গায়ে লাগে না। আবার যাঁরা একটু খেলেই মোটা হয়ে যান, তাঁদের হজমশক্তি খুব কম। খুব কম বা বেশি দুটোই খারাপ, ভালো হলো মাঝামাঝি থাকা।
* জমশক্তি ভালো করার উপায় কী?
আমাদের শরীর ঘণ্টায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরি বার্ন করে। সাধারণত কিছু না করা অবস্থায় ঘণ্টায় ৭৫ ক্যালরি বার্ন হয়। একজন সুস্থ ও পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ১৮০০ ক্যালরি পরিমাণ খাবার প্রয়োজন। শরীর নির্দিষ্ট সময় (তিন ঘণ্টার কিছু কম সময়) পর্যন্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করতে পারে। বেশি হলে শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাকি ক্যালরিগুলো ফ্যাট হিসেবে শরীরে জমা করে রাখবে।
কারণ একবার খেলে সেটা হজম হতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা লাগে। ঘুম ছাড়া বাকি সময় আমাদের সারা দিনের ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে।
প্রতি আড়াই বা তিন ঘণ্টা করে ছয়বারে ৩০০ ক্যালরি করে খেলে ১৮০০ ক্যালরি পূর্ণ হয়।
৩০০ ক্যালরি খাবার তিন ঘণ্টায় হজম হয়ে গেলে তিন ঘণ্টা পর সুস্থ ও স্বাভাবিক শরীর আবার নতুন খাবারের অপেক্ষায় থাকবে।
যা করবেন
* না খেলে প্রথমে শরীরে সঞ্চিত চর্বি বার্ন করে শক্তি জোগাবে। ধীরে ধীরে পেশি বার্ন শুরু করবে। এভাবে শরীর ক্ষয় হবে এবং মানুষ আস্তে আস্তে রোগা হবে।
* আপনি তিন ঘণ্টায় ৩০০-র বদলে ৩০০+ ক্যালরি গ্রহণ করেন, তাহলে আপনার শরীর তিন ঘণ্টায় ৩০০ ক্যালরি বার্ন করে শরীরের শক্তি জোগাবে। বাকি ক্যালরি সোজা ফ্যাট হিসেবে জমা হতে শুরু করবে।
* যদি তিনবার খান, তাহলে গড়ে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর পর ৬০০ ক্যালরি করে খেতে হবে। তিন ঘণ্টায় ৩০০ ক্যালরি ঠিকমতো হজম হবে, বাকি খাবার ঠিকমতো হজম না হয়ে ফ্যাট হতে শুরু করবে এবং এই পরের তিন ঘণ্টা শরীর দুর্বল লাগতে শুরু করবে।
* শরীর যখন দেখবে আপনি তিন ঘণ্টা পর আবার খাবার দিচ্ছেন না, তখন সে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করবে এবং সেটা ফ্যাট হিসেবে।
* খাওয়া হজম হওয়া মাত্রই তিন ঘণ্টা পর পর খাবার খান, তাহলে শরীরের আর বাড়তি কষ্ট করে অভ্যন্তরীণ শক্তি সঞ্চয় করতে হবে না; অর্থাৎ ফ্যাট জমাবে না। অর্থাৎ হজমশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে।
কী কী খাবেন?
ব্যালান্সড খাবার খাবেন। প্রতি বেলায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের সমন্বয় থাকতে হবে। মোটামুটি ৪০ শতাংশ প্রোটিন, ৩০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ৩০ শতাংশ ফ্যাট হতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, টক দই, লাল চালের ভাত, আটার রুটি, শাকসবজি, ফলমূল, প্রচুর পানি পান করুন। প্রথম দুই সপ্তাহে কমপক্ষে ২৫০০ ক্যালরি খাবেন। মেপে খেতে হবে না। প্রোটিন যেন যথেষ্ট হয়। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর কিছু না কিছু খাবেন। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি।
কী কী খাবেন না?
সাদা ভাত, গোল আলু, ময়দা, চিনি, সোডিয়াম, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, নিকোটিন, প্রসেসড ফুড, ক্যান ফুড, তৈলাক্ত ও মসলাজাতীয় খাবার।
কী ধরনের ব্যায়াম করবেন?
জিমে গিয়ে খুব হার্ড ব্যায়াম করতে হবে। ওয়েট বেশি, কৌশলগত দিক কম। সপ্তাহে তিন দিন (এক দিন পর পর) ব্যায়াম করবেন। প্রতিটা সেশন ৬০ থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে রাখবেন। এমন সব ব্যায়াম করতে হবে, সেসব ব্যায়ামে একই সঙ্গে একাধিক পেশিতে চাপ পড়ে। এগুলোকে ‘কোর’ বা ‘কম্পাউন্ড’ ব্যায়াম বলে। কেননা এরপর শরীর ক্লান্ত হবে। তখন ব্যায়াম চালিয়ে গেলে পেশি ক্ষয় হবে। জিম শুরুর দুই ঘণ্টা আগে খাবেন এবং শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই আবার খাবেন। যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেবেন।
ঘুম কেন জরুরি?
প্রতিদিন ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমান। মানুষ ঘুমের মধ্যেই বাড়ে।

সন্তান জন্মদানে হাসপাতালে শাবনূর

মা হতে চলেছেন চিত্র নায়িকা শাবনূর।এজন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই প্রথম তিনি মাতৃত্বের স্বাদ নিতে যাচ্ছেন। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় সকালে ওব্যান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শাবনূরকে।
image_63_27806_9866
শাবনূরের স্বামী অনীক মাহমুদ অবশ্য বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সবকিছুই আল্লাহর রহমতে ভালোই আছে। চিকিৎসকের পরামর্শে আজ সকালে সিডনির ওব্যান হাসপাতালে শাবনূরকে ভর্তি করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাল সকালের মধ্যে সবাইকে সুখবরটা দিতে পারবো বলে আশা রাখছি। সবাই আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।’
অনীক বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল সন্তানের জন্মের সময় পাশে থাকব। কিন্তু ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে যেতে পারছি না। তাই মনটা খুব খারাপ।’
ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে শাবনূর অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি হচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত কিছু আশা কিছু ভালোবাসা। এই ছবিতে শাবনূর ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন মৌসুমী এবং ফেরদৌস প্রমুখ। নতুন বছরের মার্চে শাবনূরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব

খুলনা বিভাগে গত ২২ মাসে ৭৮টি অভিযান চালিয়ে পলিথিন জব্দ
৩ হাজার ৪১ কেজি ও ৫ লক্ষাধীক টাকা জরিমানা আদায়

download

=================================================
বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের সয়লাব। পলিথিনের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। পলিথিনের শপিং ব্যাগ বিক্রয়-বিতরণ, ব্যবহার, মজুদকরণ নিষিদ্ধ থাকলেও বাজারে প্রকাশ্যে এর ব্যবহার হচ্ছে। পলিথিনের যত্রতত্র এই ব্যবহারের ফলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং সড়কগুলো অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও জনসচেতনতার অভাবে পলিথিনে ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত নিষিদ্ধ এ পলিথিন ব্যবহার বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়া হলে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারনা। এদিকে নিষিদ্ধ পলিথিন বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অধিনে খুলনা বিভাগে গত ২২ মাসে ৭৮টি মোবাইল কোর্ট চালানো হয়েছে। এতে জরিমানা আদায় হয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৯’শ টাকা। এছাড়া পলিথিন জব্দ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪১ কেজি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর মাংসের বাজার, মুদি দোকান, কাঁচাবাজার, মাছের বাজার সর্বত্রই নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ছড়াছড়ি। মাছ ও মাংসের বাজারে পলিথিনের চাহিদা বেশী। ব্যবসায়ীরা যেমন নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রিতে পিছিয়ে নেই, ক্রেতারাও তেমনই এটির ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। নগরীর মাছ বিক্রেতা রানা বলেন, ক্রেতারা মাছ কিনতে এসে পলিথিন না থাকলে মাছ নিতে চায় না। নেটের ব্যাগ থাকা শর্তেও না কেনার জন্য ক্রেতারা পলিথিনের ব্যাগে মাংস নিতে চায় বলে জানান মাংস বিক্রেতারা।


শুধু ব্যবসায়ীরাই নয় ক্রেতারাও পলিথিনের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানেনা কোন ধরনের পলিথিন বিক্রয়, মজুদ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। এদিকে বিভিন্ন কাপড়ের দোকানেও নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বেড়ে গেছে। কাপড় বিকিকিনির ক্ষেত্রে পলিথিন শপিংব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধিনে খুলনা বিভাগে গত ২২ মাসে ৭৮টি মোবাইল কোর্ট চালানো হয়েছে। এতে জরিমানা আদায় হয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৯’শ টাকা। এছাড়া পলিথিন জব্দ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪১ কেজি। এর মধ্যে চলতি বছরের জানয়ারী থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এতে জরিমানা আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ২’শ টাকা।

এছাড়া পলিথিন জব্দ করা হয়েছে ২ হাজার ৫’শ কেজি। ২০১২ সালে ৩৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এতে জরিমানা আদায় হয়েছে ২ লাখ ৭’শ টাকা। এছাড়া পলিথিন জব্দ করা হয়েছে ৫৪১ কেজি। সূত্রটি জানায়, ৫৫ মাইক্রোনের নিচে পলিথিন ব্যবহারে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে। ৫৫ এ ধরনের পলিথিন মাটিতে অপচনশীল অবস্থায় বিদ্যমান থাকে এবং মাটির উর্বরতা কমিয়ে কৃষিজ সম্পদের ক্ষতি সাধন করে।
এটি নদী-খালের তলদেশে গিয়ে জমা হতে থাকে, তখন তার সঙ্গে পলি জমে জমে বালির বস্তায় পরিণত হয় এবং খাল কিংবা নদীর প্রবেশপথ আটকে দেয়। এছাড়া জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ড্রেনেজ ব্যস্থা নষ্ট হয়। যে কারনে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র ক্যামিস্ট সৈয়দ আহমেদ কবীর জানান, ৫৫ মাইক্রোনের(পুরত্ব) নিচে কোন পলিথিন ব্যবহার করা নিষেধ। এছাড়া কোন পলিথিন শপিংব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিানের নাম, শীলসহ ৫৫ মাইক্রোনের উপরে থাকলে প্যাকেজিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫(সংশোধনী ২০১০) অনুযায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, আমদানী ও বাজারজাতকরণের অপরাধে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবে। একই ব্যক্তি যদি পরবর্তী অপরাধ করে তাহলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।

এছাড়া বিক্রয়, প্রদর্শন, বিতরণ, পরিবহন ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হলে সর্বোচ্চ ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডেদন্ডিত কারার বিধান রয়েছে। পলিথিন ব্যবহারে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাট, ড্রেন, নদী-নালা, খাল-বিল ইত্যাদি স্থানে পলিথিন ফেলে দেয়া যাবে না। মানুষ সচেতন হলেই পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে। যদি কেউ নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, আমদানী, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন, বিতরণ, পরিবহন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা বিভাগী পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক তরুন কান্তি শিকদার জানান, পলিথিনের ব্যবহার পূর্বের চেয়ে বর্তমানে একটু বেশী ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশ্ববর্তী দেশগুলো থেকে এ পলিথিন আমদানী করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। ৫৫ মাইক্রোনের নিচে কোন পলিথিন ব্যবহার করা যাবে না। পলিতিনের ব্যবহার জনসচেতন হওয়া একান্ত প্রয়োজন।

স্বল্প মূল্যে পলিথিনের বিকল্প পাট জাতীয় পণ্য উদ্ভব করা হলে মানুষ পলিথিনের ব্যবহরা কমিয়ে দিবে। এছাড়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীগুলো যে পরিমান পলিথিন উৎপাদন করে তার ২৫ শতাংশ রিসমাইকেলিং(পূনচক্রায়ন) করা হলে পরিবেশ অনেকটা বিপর্যয়ের হাত থেকে মুক্তি পাবে।

ওয়েষ্ট পলিথিনের মূল্য বাড়িয়ে দেয়া হলে এটি ব্যক্তি পর্যায়ে সংগ্রহের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে পূনচক্রায়ন করে নতুনভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। অপ্রেয়োজনীয় পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে আনা প্রয়োজন। এ জন্য সরকারীভাকে নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে।

See More 

সিনেপ্লেক্সে অনন্তের চার

সম্প্রতি বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স আয়োজন করতে যাচ্ছে 'দ্য এজে মুভি উইক'। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী আলোচিত নায়ক অনন্তের নিজের প্রযোজিত ও অনন্ত-বর্ষা
অভিনীত ৪টি ছবি দেখানো হবে। চলচ্চিত্রগুলো হলো—গাজী মাজহারুল আনোয়ার পরিচালিত 'হূদয় ভাঙা ঢেউ', সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত 'দ্য স্পিড', অনন্য মামুন পরিচালিত 'মোস্ট ওয়েলকাম', ও অনন্ত জলিল পরিচালিত 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এজে মুভি উইক প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল (এজে) বলেন, 'এই মুভি উইকের মাধ্যমে আমার সকল ভক্ত-দর্শকরা আমার প্রযোজিত ও অভিনীত মুভিগুলো আবার দেখার সুযোগ পাবেন। আমি নিজেও দর্শকদের সাথে মুভি উপভোগ করার জন্য আগামী - See more

বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

১৪টি বদঅভ্যাস বাদ দিয়ে শুরু হোক তথ্যপ্রযুক্তির ২০১৪

ঘুমানোর আগে মেইল চেক, ঘুম থেকে উঠার পরে আবার অনলাইন -এমন ঘটনা আপনার জীবনে কি নিয়মে পরিণত হয়েছে? স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন চেক ইত্যাদি কী বাড়াবাড়ি রকমের হয়ে গেছে? তাহলে নতুন বছরে ঝেড়ে ফেলুন এ ধরনের সব বদঅভ্যাস। এ লেখায় দেয়া ১৪টি পয়েন্ট হোক ২০১৪ সালের টেক প্রতিজ্ঞা।
http://www.dreamstime.com/stock-image-image31729191
১. ঘুমানোর আগে ও ঘুম থেকে উঠার পর অনলাইনে যাওয়া বাদ দেব।
এ সমস্যা সমাধানে আপনাকে বেডরুমের বাইরে পাঠাতে হবে সব স্ক্রিনযুক্ত ডিভাইস। আপনি যদি কোনো অ্যালার্ম ঘড়ি হিসেবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা বাদ দিন। এর বদলে আবার ঘরে নিয়ে আসুন একটি সাধারণ অ্যালার্ম ঘড়ি।

২. অফ করব সব ইমেইল নোটিফিকেশন।
ফেসবুক ইমেইল নোটিফিকেশন, মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ ইমেইল অ্রালার্ট, জিমেইল ইনবক্স কাউন্টার ও জি চ্যাট নোটিফিকেশন এগুলো কি আপনাকে সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখে?
এ ঝামেলা এড়াতে এগুলোর সেটিংসে প্রবেশ করুন। সবগুলো বিপ, চাইম ইত্যাদি সাউন্ড বন্ধ করুন। এরপর এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা বা প্রয়োজনমতো নির্দিষ্ট সময় পর পর এগুলো চেক করুন। এতে এগুলোর ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ অনেক বাড়বে।

৩. আমার স্মার্টফোনটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত ব্যবহার করব না।
স্মার্টফোনে সারাক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অভ্যাস ত্যাগ করব। প্রয়োজন ছাড়াই নিজের মুখে সেখানে দেখানোর অভ্যাস বাদ দিন। যখন কারো সঙ্গে মুখোমুখি কথাবার্তা বলছেন, তখন স্মার্টফোনটি পকেটে রাখুন। এর স্ক্রিনের দিকে তাকালেও অনেক সময় আপনার সঙ্গী বিরক্ত হতে পারে।

৪. এসএমএস/টেক্সট ব্যবহার কমিয়ে সরাসরি কথা বলব।
বন্ধুর কোনো উপলক্ষে তাকে হ্যাপি বার্থডে, হ্যাপি নিউ ইয়ার, হ্যাপি অমুক দিবস ইত্যাদি কপি-পেস্ট এসএমএস টেক্সট না পাঠিয়ে সরাসরি কথা বলুন। টেক্সট পাঠানো অনেক ক্ষেত্রে কার‌্যকর হলেও এটি সবক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই। সরাসরি কথা বলাই এখন সবচেয়ে ভালো।

৫. কেউ আমার ফোন রিসিভ না করলে এসএমএস/টেক্সট করব।
প্রয়োজনে কাউকে ফোন করার পর সে কোনো কারণে তা রিসিভ করতে না পারলে তাকে এসএমএস টেক্সট পাঠানো যেতে পারে। ভয়েসমেইল এক্ষেত্রে কোনো সমাধান নয়। এসএমএস এক্ষেত্রে অপর পক্ষের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে ভালো উপায়।

৬. এসব স্থানে আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করব না-
-জিম
-সিঁড়ি
-রাস্তা পারাপারের সময়
-বের হওয়ার লাইনে
-ড্রাইভারের আসনে
-বিশ্রামের সময়।

৭. টুইটারের বাইরে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করব না। টুইটারেও শুধু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ব্যবহার করব। যখন তখন এসব নয়।

৮. ইন্সটাগ্রামে একবারে একটা করে ছবি পোস্ট করব। একাধিক ছবি পোস্ট করব না।

৯. প্রতিদিন তিনবারের বেশি ফেসবুক চেক করব না।

১০.যখন তখন ইন্টারনেটে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ইন্টারনেটে খোঁজা বন্ধ করব।

১১.অন্যকারো সৃষ্টি সারাক্ষণ অনলাইনে শেয়ার করব না।
অন্যের শেয়ার করা ছবি, ভিডিও, অপ্রয়োজনীয় খবর ইত্যাদি অনলাইনে পুনরায় শেয়ার করা বন্ধুদের বিরক্তি সৃষ্টি করে। এ কাজ সম্পূর্ণ বাদ দিতে না পারলে যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলাই ভালো।

১২.বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার সিংক্রোনাইজেশন বন্ধ করব।
একই পোস্ট বন্ধুদের তিনটি ভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখানোর কোনো দরকার নেই। এটি তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।

১৩.আমার ইনবক্সে জমা অপঠিত ইমেইল যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলব।

১৪. অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সোশাল মিডিয়ায় অপ্রয়োজনীয় গল্প তৈরি বাদ দেব।

২০১৪ আরোও ভাল হবে: রোনালদো

জাতীয় দলকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া,চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে সর্বোচ্চ গোলের নতুন রেকর্ড করা,চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় তিনে উঠে আসা,রিয়ালের হয়ে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোল করা ফুটবলারদের তালিকায় চারে উঠে আসা-সবমিলিয়ে দারুণসব অর্জন নিয়ে ২০১৩ পার করেছেন রিয়ালের পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।তবে তাতেই তুষ্ট নন এ ফুটবল জিনিয়াস।আগামী বছর আরোও অনেক ভাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভক্তদেরকে।


গত রবিবার লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে গোল করে এ বছরের মিশন শেষ করেছেন রোনালদো।ওই গোলটি ছিল তার লা লিগা ক্যারিয়ারের ১৬৪তম গোল।আর সিআর সেভেন গোলটির মাধ্যমে ছুঁয়ে ফেলেছেন হুগো সানচেজকে।সাবেক মেক্সিকান তারকা সানচেজ ১৬৪টি গোল নিয়ে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোল করা রিয়াল ফুটবলারদের তালিকায় চারে ছিলেন।আরেকটি মাইল ফলক স্পর্শ করা রোনালদো অবশ্য এখানেই থেমে থাকতে চান না।আরোও বড় কিছু করতে চান।২০১৪ সালে আরোও ভাল কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এরই ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।রোনালদো লিখেছেন,২০১৩ যেভাবে কেটেছে তাতে আমি খুশি।বেশ ভাল ভাবেই কেটেছে বছরটি।তবে পরের বছর আরোও ভাল  কিছু  হবে।

বর্ষ সেরা অভিনেত্রী মাহি



উল্লেখ্য, প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় প্রচারিত ‘মুভি বাজার’ অনুষ্ঠানে আমাদের সিনেমার একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।


অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় সৈকত সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর দর্শক ফেসবুক পেজে তার চোখে সেরা তারকা বা বিষয়ের ওপর মতামত তুলে ধরেন। সেরা মতামতের জন্য থাকে পুরস্কার। পুরস্কারের চেয়েও বড় কথা হলো, এর মাধ্যমে আমাদের সিনেমা নিয়ে নিয়মিত চর্চা করছেন নতুন প্রজন্মের দর্শক।

সন্তানের ছাইভস্ম দিয়ে হীরা বানালেন বাবা

তাদের সন্তানকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসেন। সে সন্তান যেমনই হোক না কেন। কোনো বাবা-মা নিজ সন্তানের মৃত্যু দেখতে চান না। সন্তান হারানোর বেদনা সহ্য করতে পারেন না। একজন বাবা নিজ সন্তানকে কতোটুকু ভালোবাসতে পারেন তারই প্রমাণ দিলেন ইতালিয় এক নাগরিক।


উত্তর ইতালির ট্রেভিসোতে বসবাসকারী ওই ব্যক্তি তার মৃত সন্তানের ছাইভস্ম হীরায় পরিণত করেছেন। তার সন্তান চলতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।


ভারত থেকে প্রকাশিত গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া সোমবার জানায়, সন্তানের স্মৃতি ধরে রাখতে বাবা সন্তানের দেহাবশেষ মূল্যবান হীরায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেন। সন্তানের মৃতদেহ কবর দেয়ার কয়েক মাস পর বাবা কবর খুঁড়ে সন্তানের দেহের একাংশ তুলে সেটি দাহ করেন এবং ছাইকে মূল্যবান রত্নে পরিণত করার জন্য সুইজারল্যান্ডে পাঠান।


উল্লেখ্য যে, ছাইয়ে থাকে কার্বন। হীরা তৈরির জন্য প্রথমে ছাই পরিশোধন ও ছাঁকনের মাধ্যমে কার্বন পৃথক করা হয়। পরে কার্বনকে নির্দিষ্ট আধারে উচ্চচাপ ও তাপ প্রয়োগ করা হয়। আগ্নেয়গিরির ভেতরে লাভাতে যে পরিমাণ চাপ ও তাপ থাকে, এ আধারেও সে পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। এভাবে কার্বন থেকে তৈরি হয় কৃত্রিম হীরা।


নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, ছাই থেকে হীরা তৈরি করতে চাইলে ১৮ হাজার ডলারের (১৪ লাখ টাকার) মতো খরচ হয়। আট মাস অপেক্ষার পর বাবা তার সন্তানের ছাই থেকে তৈরি হীরাটি হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দৈনিকটি।